দুজনের নামই রমজান। একজন চালক ও একজন হেলপার। তার আন্তঃজেলা কাভার্ডভ্যান চালক। কিন্তু এর আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাচার করেন ইয়াব।

পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে আসলেও ফিরতি পথে যাবার সময় নিয়ে যান খুচরা ইয়াবার চালান। এসব তাদের হাতে তুলে দেয় কথিত দুলাভাই নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। বিনিময়ে প্রতি চালানে তারা পান ২০ হাজার টাকা। তবে এবারের চালান আর গন্তব্যে পৌঁছেনি।

রোববার রাতে ডবলমুরিং থানার কদমতলী মোড়স্থ ফ্লাইওভারের নিচে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ২১,৭০০ পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) পংকজ দত্ত বলেন, ‘গতকাল রাত ১০ টার দিকে কদমতলী মোড় ফ্লাইওভারের নিচে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন চালক ও হেলপার। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কথা অসংলগ্ন মনে হয়। তখন তাদের সাথে থাকা একটি শপিং ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ২১,৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, দুই রমজানের একজন চালক ও অপরজন হেলপার। তারা আন্তঃজেলা কাভার্ডভ্যান চালান। তারা ঠাকুরগাঁওয়ের শাহজালাল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর বাহক হিসেবে এসব ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিল। হেলপার রমজানের বাসা ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সত্যপীর ব্রীজ এলাকার প্রধাণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রমজানকে দিয়েই শাহজালাল দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক পাচার করতো। এছাড়া চট্টগ্রামের কথিত এক ‘দুলাভাই’র কাছ থেকে তারা এসব ইয়াবা সংগ্রহ করে। এর আগেও তারা একাধিকবার একই কায়দায় ইয়াবা সংগ্রহ করে। ইয়াবার একটি চালান গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে তারা ২০ হাজার টাকা পান। তারা সাধারণত পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন। পণ্য ডেলিভারি করার ফাঁকে তারা এসব ইয়াবা সংগ্রহ করেন। এই ঘটনায় এই দুই রমজান, পলাতক শাহজালাল ও কথিত দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।